ভালো বক্তা হওয়ার উপায়

Rate this post

ভালো বক্তা হওয়ার উপায়: ভালো বক্তা হওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে প্রধানত সাত কিংবা ১০ টি বিষয়ের উপর লক্ষ রেখে কথা বললে আপনার কথা বলা শ্রোতার মন জয় করে নিবে। অনেকে হয়তো ভালো বক্তা হওয়ার চেস্টা করে। ভালো বক্তা হওয়ার প্রথম শর্ত হোচ্ছে সঠিকা জেনে কথা বলা। কেননা সঠিক তথ্য মানুষের মাঝে উপাস্থাপন করতে বক্তার নিজের কাছে একটা আত্তবিস্বাশ থাকে আর এ আত্তবিশ্বাস নিয়ে কথা বললে বক্তার মুখে কোনা জড়তা থাকেনা এবং মানুষের মাঝে ভুল ধরার কোন সংসয় থাকেনা তাই ভালো বক্তা হওয়ার প্রধান বেশিস্ব হোচ্ছে সঠিক তথ্য জেনে কথা বলা।

ভালো বক্তা হওয়ার উপায়

বক্তা কি? (What is a speaker?)

বক্তা-
সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারা মানুষের সবচেয়ে সুন্দর এবং কার্যকর গুণগুলোর একটি। কথার মাধ্যমে মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করে। আপনি যত সুন্দরভাবে কথা বলতে পারবেন আপনার মনের ভাব সকলের কাছে তত সহজে প্রকাশ পাবে। এই গুণটি দিয়ে আপনি যেমন নিজের কাজ আদায় করতে পারবেন তেমনি অন্যদের করতে পারবেন প্রভাবিত। আমরা খুব কম মানুষই এই গুণ নিয়ে জন্মাই। তবুও চারপাশে খেয়াল করে দেখবেন, অনেকেরই এই বিশেষ গুণটি রয়েছে। কিভাবে তারা পারে? সত্য কথা বলতে- চেষ্টা এবং চর্চার মাধ্যমে ভালো বক্তা হওয়ার যায়।

মনের ভয়টাকে জয় করাঃ
একজন ভালো বক্তা হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে নিজের মনের ভয়টাকে জয় করা। তারপর ধীরস্থিরভাবে স্পষ্টভাবে বক্তব্যটা তুলে ধরা। প্রতিটি শব্দ যেন শ্রোতাদের কাছে স্পষ্টভাবে পৌছায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
নিজের মনের ভেতরে ভয় নিয়ে কখনও ভালো বক্তা হওয়া যায় না।

নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখা, যে বিষয় নিয়েই কথা বলিনা না কেন বক্তব্যে নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমার সামনের শ্রোতারা আমার কথা, আমারর ধারণা, আমার চিন্তাচেতনার ভাগ নিতে এসেছে।


নিজের প্রতি আস্থা রাখা
খুব দ্রুত হড়বড় করে না বলে গুছিয়ে বলুন। দ্রুত বলতে গেলে শ্রোতারাও কনফিউজড হয়ে যাবে। নিজের প্রতি আস্থা রেখে দীর্ঘ একটা শ্বাস নিন ,তারপর ধীরস্থিরভাবে স্পষ্টভাবে নিজের বক্তব্যটা তুলে ধরতে হবে।

অনুশীলন অথবা বক্তব্য গুছিয়ে লেখা
যখন আপনি দীর্ঘ বক্তব্য দিতে যান তার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সব বিষয় সাজিয়ে লিখে ফেলুন একটা কাগজে। কোন বিষয়টির পর কোনটি তুলে ধরবেন তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সাজিয়ে ফেলুন।

কাওকে আঘাত করে কথা না বলা
বক্তব্যে অন্য কোনো ব্যক্তি, সমাজ, জাতি কিংবা ধর্মকে আঘাত করবেন না। বিনয়ী হোন, অন্যের আবেগ অনুভূতির জায়গাগুলোকে সম্মান করুন তাহলে বক্তা হিসেবে আপনার গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।

পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করা-VOL
বক্তৃতা প্রদান কালে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে, উপস্থিত র্দশক কোন ধরণের র্দশকদের অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষিত আবার কখনও দেখা যায়, অধিকাংশ র্দশক কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত। তাই পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে বক্তা দিতে পারা টাও একজন ভাল বক্তার বিশেষ গুন।

বক্তাকে কৌশল অবলম্বন করা-বক্তব্যের মধ্যে মজাদার কোন কৌতুক থাকলে দর্শক অবশ্যই আকৃষ্ট হবে। তাছাড়াও দর্শক কোন বক্তৃতার মাঝে গল্প শুনতেও পছন্দ করে। এজন্য বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোন গল্প বলা যেতে পারে।

নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত মঞ্চ আয়োজন দিকে দৃষ্টি রাখা
অডিও/ভিডিওর আধিক্য দর্শকের সাথে সম্পৃক্ততা কমিয়ে দেয়। এজন্য এগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এমনভাবে অডিও/ভিডিও বক্তব্যে ব্যবহার করতে হবে যেন বক্তব্য বাধাগ্রস্ত না হয়, বরং এগুলোর উপস্থিতিতে বক্তব্য আরও শাণিত হয়।


উপস্থিত দর্শকদের ফ্রিডব্যাক নেওয়াঃ
শ্রোতার ফিডব্যাক নিন। ভুলগুলো শুধরান। আরো ভালো করার জন্য সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যান। এই চেষ্টা অবিরাম। কারণ সাফল্য কোনো গন্তব্যের নাম নয়, সাফল্য এক নিরন্তর যাত্রার নাম। নাম। সাফল্যের কোনো শেষ নেই। সাফল্যের কোনো চূড়া হয় না। প্রতিনিয়ত মানুষ চূড়ার ওপর চূড়া তৈরি করে সাফল্যের নতুন নতুন মানদণ্ড তৈরি করে চলেছে বিরামহীন।

অন্যদের শেয়ার করুন

Leave a Comment

bdinbd.com